পরিবহন খরচ কমবেশি হবে যদি প্রোডাক্ট বেশি হয় তাহলে পরিবহন খরচ কমে যাবে সেটা আমাদের সাথে কথা বলতে পারেন 01738538980,ansaralianis@gmail.com
বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি
টন জৈব সারের পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ (শুষ্ক নমুনা) পরিপক্ব গোবর সার, কেঁচো সার,
মুরগির বিষ্ঠা আবর্জনা/কিচেন মার্কেট কম্পোস্ট সারে
1.৩০-৭০
কেজি ইউরিয়া,
2.
১৭-৯০ কেজি টিএসপি,
3.
১০-৪২ কেজি এমওপি,
4.
ক্যালসিয়াম সালফেট ৩-১৩ কেজি,
5.
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ১.০-১.৬ কেজি,
6.
জিপসাম ১১-২০ কেজি।
u1.
জিঙ্ক সালফেট ০.০৫-১.৮ কেজি,
2.
বোরিক অ্যাসিড ১৪৫-২৪০ গ্রাম,
3.
অ্যামোনিয়াম মলিবডেট ২৪-৯৫ গ্রাম,
4. কপার
সালফেট ৪০-৩৬৬ গ্রাম,
5.
ম্যাঙ্গানিজ সালফেট ৩৫-৯৫ গ্রাম পাওয়া যায়।
প্যারাগন জৈব সার ব্যবহারে-
১.মাটির
পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে ও মাটিকে সমৃদ্ধ করে।
২.বেলে
মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং পুষ্টি উপাদান যুক্ত করে।
৩.এটেল
মাটিকে ঝুরঝুরে করে ও এর বায়ুচলাচল বৃদ্ধি করে।
৪.সবজি
ফসলে মালচিং এর কাজ করে।
৫.ভূমিক্ষয়
রোধ করতে সহায়তা করে।
৬.মাটিতে
উপকারী অনুজীবের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
৭.মাটির
পি-এইচ বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মান নিরপেক্ষ রাখতে সহায়তা করে।
৮.পট
অথবা টবের মাটির সহিত কম্পোস্ট ব্যবহার করে চারা রোপন করা হয়।
প্যারাগন জৈব সার কেন অপরিহার্য
uমাটি
একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এ দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা হচ্ছে
কৃষি যা এ মৃত্তিকা সম্পদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দেশের মৃত্তিকা আজ হুমকির
সম্মুখীন। অধিক মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারই এর প্রধান কারণ।
uমাত্রাতিরিক্ত
রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাটির
অম্লত্ব পরিবর্তিত হয়ে অনুজীবের কার্যাবলী ব্যহত হচ্ছে। এতে মাটির উৎপাদনশীলতা
ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে মাটির উর্বরতা সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
uমাটিকে
তখনই উর্বর বলা হবে যখন তাতে কোন উদ্ভিদের পরিপূর্ণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব
খাদ্য উপাদান সঠিক পরিমাণ বিদ্যমান থাকে। অনুর্বর জমিতে ফসলের ফলন হয় কম এবং উর্বর
জমিতে ফলন হয় বেশী।
uসুতরাং
অধিক উৎপাদন পেতে হলে মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখতে হবে। জৈব পদার্থ হচ্ছে মাটির
প্রাণ।
uজৈব
সার গাছের খাদ্য ভান্ডার হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা দীর্ঘদিন ধরে গাছ
ব্যবহার করতে পারে অর্থাৎ উদ্ভিদের অত্যাবশ্যকীয় সকল পুষ্টি উপাদান জৈব পদার্থে
বিদ্যমান।
uজৈব
পদার্থ মাটিতে ব্যাকটেরিয়া তথা অনুজীবের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং গাছের পুষ্টি
উপাদান গ্রহনের উপযুক্ত অবস্থা তৈরী করে অর্থাৎ জৈব পদার্থ পুষ্টি উপাদান গুলোকে
মাটিতে সহজলভ্য করে ও সুষম অনুপাতে থাকতে সহায়তা করে।
uগাছের
মুখ্য উপাদান নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার ও ক্যালসিয়াম বেশী পরিমাণে
সংযুক্তি করে। তাছাড়া কোন সার প্রয়োগ করলে তার ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। জৈব সার
রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।