আধুনিক কৃষির সাথে পাল্লা দিতে মাটির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে কোকোপিট। পুষ্টিগত মান সম্পুর্ণ থাকায় গাছের সকল উপাদান সহজেই এ থেকে আসে। এটি পরিবেশ বান্ধব ও মাটির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায় বলে ছাদ কৃষির সবথেকে সর্বোত্তম পন্থা।
- কোকো পিটের সুবিধা সমুহঃ
- কোকো পিটে আছে পানি ধরে রাখার অসাধারন ক্ষমতা। গাছের জন্য যতটুকু পানি দরকার ঠিক ততটুকু পানি এই কোকো পিট ধারন করে রাখে ফলে গাছের শিকড় বা মুলে পঁচন ধরে না।
- কোকো পিট দিয়ে গাছ লাগালে ক্ষতিকারক পোকা মাকড় আসে না।
- কোকো পিটে দ্রুত পানি ও বাতাস চলাচল করতে পারে ফলে গাছের শিকড় দ্রুত বাড়ে। গাছের শিকড় বাড়ার কারনে গাছও দ্রুত বাড়ে এবং সাস্থ্যবান হয়।
- কোকো পিটে দ্রুত পানি ও বাতাস আসা যাওয়ার কারনে ক্ষতিকারক ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না।
- কোকো পিটে রাসায়নিক সার মিশানো ছাড়াও চাষ করা যায়। শুধু মাত্র ভার্মি কম্পোষ্ট অথবা জৈব সার মিশিয়ে চাষ করা যায় ফলে রাসায়নিক মুক্ত সবজি, ফল, ফুল, অর্কিড ও অন্যান্য গাছ উৎপাদন করতে পারবেন।
- কোকো পিট মাটির তুলনায় পরিষ্কার ও পরিছন্ন ফলে যেখানে গাছ রাখবেন সেই যায়গা গুলো যেমন আপনার ঘর, বারান্দা ও ছাদ নোংরা হবে না সর্বসময় পরিষ্কার ও পরিছন্ন থাকবে।
- কোকো পিটে বেড়ে উঠা গাছের ফল ও ফুল বড় ও পুষ্টিবান হয় এবং যার কারনে হাইড্রপোনিক্স বাগান মালিকেরা মাটি ব্যাবহার না করে কোকো পিট ব্যাবহার করে থাকেন।
- কোকো পিট ১০০% জৈব উপাদান।
- কোকো পিটে প্রাকৃতিকভাবে অপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধী উপাদান বিদ্যমান থাকে।
- কোকো পিটে প্রাকৃতিক মিনারেল থাকে যা উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি এবং উপকারী অণুজীব সক্রিয় করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- কোকো পিট ph মান সঠিক পরিমানে ধরে রাখে।
- কোক পিটে পানি নিষ্কাশন খুব সহজেই হয়।
- কোকো পিটে গাছের মৃত্যুহার খুব কম।
- বীজতলা ও বীজ জার্মিনেশন এর এক অসাধারন মাধ্যম এই কোকো পিট।
- হাইড্রপোনিক্স চাষাবাদ এর জন্য অন্যতম মাধ্যম।
- কোকো পিট মাটির তুলনায় ওজনে অনেক গুন হালকা তাই গাছের টব বা পাত্র সহজে বহন করা যায়। আর ছাদের উপর অতিরিক্ত চাপও পড়েনা।