সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM): একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি কৃষি উৎপাদনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো বালাই বা পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ। এই বালাইগুলোর আক্রমণে ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায় এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়। বালাই প্রতিরোধে বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহৃত হলেও, এদের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা বা Integrated Pest Management (IPM) পদ্ধতি কৃষকদের জন্য একটি কার্যকর এবং টেকসই বিকল্প হয়ে উঠেছে। IPM হলো একাধিক পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করে বালাই নিয়ন্ত্রণের একটি পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই পদ্ধতি। এটি রাসায়নিক এবং প্রাকৃতিক উভয় নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সমন্বয় করে বালাইয়ের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রদান করে। এই পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের সুরক্ষা এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব।
খাদ্য ও পুষ্টি হলো জীবনের একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। সঠিক ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে একজন মানুষের শরীরের প্রতিটি কোষ সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। খাদ্য শুধু আমাদের ক্ষুধা মেটানোর মাধ্যম নয়; এটি আমাদের শরীরকে শক্তি জোগায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে এবং সুস্থ জীবনযাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কৃষি বিজ্ঞানের প্রধান চাবি হলো বীজ কিন্তু সংজ্ঞায়নের ভাষায় বীজ হলো: পরাগায়নের দ্বারা নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে বীজ বলে। যেমন: ধান, গম, ভূট্টা ইত্যাদি। আবার উদ্ভিদ দেহের যেকোনো অংশ যখন উপযুক্ত পরিবেশে আপন জাতের নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয় তখন সে অংশটিকেও বীজ বলে। যেমন: আখের সেট, আলুর টিউবার, কলার সাকার ইত্যাদি। তাহলে বলা যায়, উদ্ভিদের যে অংশ বা অংশ বিশেষ নতুন প্রজন্মের জন্ম দিতে পারে তাকেই বীজ বলে।